বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাবার অপমান সইতে না পেরে খুশি আক্তার (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুশি মৃত্যুবরণ করে। ছাত্রীর বাবা মো. ইলিয়াস খলিফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইলিয়াস খলিফা জানান, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি সদর ইউনিয়নের আফসার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজের বিরুদ্ধে তার মেয়ে খুশি আক্তারকে উত্যক্ত করার অভিযোগ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামের কক্ষে যান। এসময় প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানার জন্যে খুশি এবং রিয়াজকে তার কক্ষে ডেকে আনেন এবং অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। কথাবার্তার এক পর্যায় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে খুশি আক্তারের সামনেই তার বাবা ইলিয়াস খলিফাকে চর-থাপ্পড় মারতে থাকেন প্রধান শিক্ষক।

ছাত্রীর বাবা আরো জানান, এসময় বাবাকে এভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করলে খুশিকে গলা ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন উত্তেজিত প্রধান শিক্ষক। পরে অন্য এক শিক্ষকের সহযোগিতায় খুশির বাবা ইলিয়াস খলিফাকেও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। আর এ অপমান সইতে না পেরে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে খুশি আক্তার।

পরে গুরুতর অবস্থায় খুশিকে উদ্ধার করে প্রথমে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে খুশির মৃত্যু হয়।

ইলিয়াস খলিফা জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ওই দিন ইলিয়াস খলিফাই তার মেয়েকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

বিবার্তা/রাজু/জহির