জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) আক্তারুজ্জামান গত ৩০ জুলাই ঝিনাইদহের মহেশপুরের ভালাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি বই থেকে রিডিং পড়তে দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়তে পারেনি।
শিক্ষার এমন ‘বেহাল দশা’ দেখে এবং ঠিকমতো পাঠদান করতে না পারার ‘অপরাধে’ ওই বিষয়ের শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন ডিপিও। বহিষ্কারাদেশের ওই চিঠিটি পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে। পরে দেখা যায়- তার ওই এক চিঠিতেই ২২টি বানান ভুল!
একপর্যায়ে ভুলে ভরা চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে স্থানীয় শিক্ষক সমিতিও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ডিপিওর বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করেন ডিপিও। শিক্ষিকাকে শাস্তি দিতে গিয়ে ডিপিও নিজেই এখন বিপদে। প্রশ্ন উঠেছে তার যোগ্যতা নিয়ে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর খুলনার উপপরিচালক মেহেরুন্নেছা বলেন, ডিপিও আক্তারুজ্জামান শিক্ষিকাকে ভুলে ভরা চিঠি দিয়েছেন। তবে একজন ডিপিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।
তবে ডিপিও আক্তারুজ্জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই শিক্ষিকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহসম্পাদক আবদুল হক জানান, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ কারণে কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা বলেন, ডিপিও সাহেব ভুল স্বীকার করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]