নড়াইলের জয়পুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জয়পুর গ্রামের মনিন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুখ বিশ্বাসের (৩৯) সঙ্গে ৯ বছর পূর্বে যশোর সদর উপজেলার বাগদিয়া গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের মেয়ে শান্তনা বিশ্বাসের (৩০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এরইমধ্যে তাদের ঘর আলো করে অনিদ্র (৭) নামে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু শান্তনার কপালে সুখ আর বেশি দিন সইলো না।

স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা দিনের পর দিন শান্তনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও শান্তনার ওপর নির্যাতন বন্ধ করা যায়নি। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে শান্তনা বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। এসময় মুমূর্ষু অবস্থায় স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বারান্দায় রেখে সবাই পালিয়ে যায়।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপন ঘোষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার এসআই জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায় এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত শান্তনার ভাই অশোক বিশ্বাস বাদী হয়ে স্বামী সুখ বিশ্বাসসহ আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার এসআই জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে শান্তনা বিশ্বাসের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

বিবার্তা/উজ্জ্বল/জহির