হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল প্রতীক্ষিত নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের মেরামতে কাজ দীর্ঘ আট মাসেও শেষ হয়নি। কাজ সম্পন্ন করার তারিখও ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
স্থানীয়রা জানায়, এলজিইডির কার্যালয় থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠি দিলেও চিঠির কোনো জবাব পায়নি এলজিইডি অফিস। চিঠি দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে ধীরে-ধীরে মনগড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়ক দিয়ে কয়েক শতাধিক সিএনজি (অটোরিকশা),মিনিবাস, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে এ উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণার দেবপাড়া, গজনাইপুর, পানিউমদা ও বাউসা ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের স্কুল-কলেজর শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ নবীগঞ্জ শহরের যাতায়াত করে থাকেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এই সড়ক। বাউসা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার এই সড়কই একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন এসব এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
২০১৮ সালে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে আট কোটি ৫১ লক্ষ টাকার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। পরে কাজটি পায় হবিগঞ্জের ঠিকাদার মিজানুর রহমান শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসান বিল্ডার্স। কাজটি ওয়ার্ক ওয়ার্ডারের পর ৩০ নভেম্বর ২০১৮ থেকে এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসান বির্ল্ডাস। কাজের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে এ রাস্তার কাজ করে আসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কাজ সম্পন্ন করার শেষ তারিখ ছিল (৩০জুলাই-২০১৯)। কাজ শেষ করার তারিখ অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ আট মাসেও কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষদের।
পূজা রানী দেব নামে এক শিক্ষার্থী জানান, রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে, কিন্তু শেষ হচ্ছেনা। এতে যাতায়াত করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। দ্রুত এ রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমি আশাবাদী।
বাউসা যুব সংগঠনের সভাপতি আলী হাছান লিটন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, আগের রাস্তার কার্পেটিং তুলে আবার এ রাস্তায় ফেলা হয়েছে, এর ফলে সিএনজিতে করে যাতায়াতকালে অনেক কষ্ট করতে হয়।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু জাকির সেকেন্দার বলেন, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছি যাতে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করে । আশা করি দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে ।
বিবার্তা/ছনি/তাওহী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]