ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- আসলাম খান (২৪) ও সোহেল (১৮)।
সোমবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
মৃত আসলাম খান বরিশালের বাকেরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে ও সোহেল পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, মৃত আসলাম খান সোমবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সোহেলকে সোমবার রাত দেড়টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি করান তার স্বজনরা। রাত পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে বর্তমানে ২৪ জন ভর্তি রয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, উভয় রোগী আগে থেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকায় তাদের ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হওয়ার পরও সঠিকভাবে চিকিৎসা না করিয়ে তারা কেন বাড়িতে এসেছেন তা জানি না। তারা খুবই খারাপ অবস্থায় এসেছিলেন। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো।
অপরদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগীর স্থান হচ্ছে মেঝেতে বা বারান্দায়। বাড়তি রোগীর চাপে ওয়ার্ডগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা।
ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সরকার সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিলেও বাইরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দেড় থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]