ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার ডিভাইস নেই ভোলা সদর হাসপাতালসহ জেলার ৭ উপজেলার কোনো হাসপতালেই। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার ডেঙ্গু রোগীরা। শঙ্কায় রয়েছেন ভোলার ২০ লাখ মানুষ।

শহরের কালিবাড়ি রোডের বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। আমরা অফিসের কাজে ঢাকা গেলে যে কোনো সময় ডেঙ্গু আক্রান্তের শিকার হতে পারি। কিন্তু ভোলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ডিভাইস নেই। এতে তো আমাদের জীবনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল।

ওয়েস্টার্ন পাড়ার মো. সুমন জানান, আমার ছোট ভাই ঢাকায় মামার বাড়ি থেকে গত ২৭ জুলাই বাড়ি আসে। ওই দিনই তার শরীরে জ্বর ওঠে। ওষুধ খাওয়াই। কিন্তু জ্বর না কমায় আমরা পর দিন তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার করার জন্য বলেন। কিন্তু সদর হাসপাতালে তা পরীক্ষার কোনো যন্ত্র না থাকায় বাধ্য হয়ে বরিশাল গিয়ে পরীক্ষা করি।

গত ২ সপ্তাহে ভোলায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভোলা সদর হাসপাতালে ও দুজন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন তিনজন চিকিৎসাধীন। এরা সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলায় আসেন।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার জন্য যে ডিভাইস লাগে, তা ভোলা সদর হাসপাতলে নেই। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাদের দ্রুত ডিভাইস দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের কোনো ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। এটি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো যায়।

বিবার্তা/রবি