শিরোনাম
ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আতঙ্ক, হাসপাতালে ২২ রোগী
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৮
ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আতঙ্ক, হাসপাতালে ২২ রোগী
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বর্ষা মৌসুমে ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। আশঙ্কাজনকভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন নগরবাসী।


সোমবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব রোগী ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হন।


মমেক হাসপাতালের তথ্যমতে, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২২ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রাথমিকভাবে বহিঃর্বিভাগে জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা গেছে।


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের চর বাঙ্গালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার ডা. উইলিয়াম ম্রং ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যুদ্ধের পর ডা. উইলিয়াম ম্রং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালেই যোগদান করেন।


মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, শনিবার ছয়জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়াও গত কয়েক দিনে আরও ১৬ জন রোগী ভর্তি হন, যারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ কেউ ঢাকায় বসবাস করতেন, কেউ ঢাকায় কোনো কাজে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তারা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।


ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে।


মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সচেতনতামূলক সভা, র‌্যালি ছাড়াও নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কনভারজেন্সি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


এ সময় মেয়র টিটু জনসাধারণের সচেতনতার বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, মশা উৎপাদন রুখতে জনসচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে। বাড়ির আশপাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শুধু আমরাই নয়, সবারই এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা উচিৎ।


সাধারণত এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। এরা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। বিশেষত বাড়ির ছাদে বা আশপাশে এমনকি ঘরের ভেতরেও ফ্রিজের জমা পানিতে, সোফার নিচেও জন্ম নিতে পারে।


সুস্থ থাকতে হলে বাড়ির ভেতর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আশপাশেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। একই স্থানে তিন থেকে পাঁচ দিন পানি জমে থাকলে সেখানে এডিস মশা ডিম পারে।



বিবার্তা/বাপ্পী/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com