শিরোনাম
কমছে যমুনার পানি, কমেনি দুর্ভোগ
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০১৯, ১০:১০
কমছে যমুনার পানি, কমেনি দুর্ভোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বিতীয় দফায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যাকবলিতদের।


এবারের বন্যায় সিরাজগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ২৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সাতটি নদীতে বিলীন হয়েছে গেছে। এছাড়া জেলায় মোট ৯৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। সিরাজগঞ্জে ২ কিলোমিটার (আংশিক) বাঁধ, ৫ হাজার ৭২১টি উবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্যায় পানিতে পড়ে ৫ ব্যক্তি এবং ৩ হাজার ৮৮৫টি হাঁস-মুরগি ও চারটি গবাদি পশু মারা গেছে।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩৯টি ইউনিয়নের ৩৮৮টি গ্রামের ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। ৭৮ হাজার ৬৯৮ মানুষ আংশিক ও ১ হাজার ১২৪ হাজার মানুষ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৩৮১৩ হাজার। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮৫টি।


জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, বন্যাকবলিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর নদীতে বিলীন হয়েছে ছয়টি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ২১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যাকবলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কাজীপুরে ৮৬, চৌহালিতে ১৯, সিরাজগঞ্জ সদরে ২৫, শাহজাদপুরে ৬৫ এবং বেলকুচি উপজেলায় ২০টি রয়েছে।


যমুনা নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চৌহালি উপজেলার অ্যাওয়াজী কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদাশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌবারিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলজলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলকুচি উপজেলার রতনকান্দি সোহাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সিরাজগঞ্জ সদরে বেতুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া বেলকুচি উপজেলার চরবেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শাহজাদপুর উপজেলার বাঐখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, সিরাজগঞ্জ সদরে চারটি, কাজীপুরে সাতটি, বেলকুচিতে দুটি এবং চৌহালিতে দুটি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল্লাহ বলেন, বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার ৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সাতটি, চৌহালিতে ২১, কাজীপুরে ১৯, শাহজাদপুরে ১০, বেলকুচিতে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।


ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. ইমান আলী জানান, এখনো অস্বাভাবি কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। বন্যার পানি নামার সময় বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে জেলায় মোট ৯৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ আছে।



বিবার্তা/রিয়াদ/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com