গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দকৃত বাড়ি নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কোটালীপাড়ায় পাঁচজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণের প্রকল্প তিন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলে ও সে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে সময় লেগে গেছে প্রায় দেড় বছর।
উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পাঁচজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণের প্রকল্প তিন মাসের মধ্যে বাড়িনির্মাণ করার কথা থাকলে ও সে বাড়ী নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করতে সময় লেগে গেছে প্রায় দেড় বছর। নাম মাত্র টেন্ডারের মাধ্যমে ৩মার্চ ২০১৯ সালে কোটালীপাড়াউপজেলা প্রকৌশলী দেবাশিষ বাগচী ঠিকাদার সৈয়দ জিয়াউল হককে কাজটি নির্মাণের দায়িত্ব দেন।
৬ জুন ২০১৮ সালে তিন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ছয় মাসের মধ্যে ১০% কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন মাস পরে ঠিকাদার ৬ জুন ২০১৮ সালে কাজ সম্পূর্ণ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ঠিকাদারের কাছ থেকে পে-অর্ডারটি তুলে নেয় উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশিষ বাগচী।
পরবর্তীতে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করেন কোটালীপাড়াউপজেলা প্রকৌশলী দেবাশিষ বাগচী। এরপরে নিজ দায়িত্বে কাজ সমাপ্ত করে দেবে বলে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্বাস দেয়।
মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেনর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি ঘর দিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও দেড় বছরেও আমার ঘরটির কাজ শেষ হয়নি অথচ দ্রুত কাজটি শেষ করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে ২৫০০০ টাকা নেয় এরপরেও কাজটি শেষ হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশিষ বাগচী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
গোপালগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চেয়ে বলেন, প্লিজ অফ দ্যা রেকর্ড । তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অপারগতা প্রকাশ করায় মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে পে-অর্ডার নিয়ে আমরা নিজেরা তত্বাবাধনে কাজটি করছি।
বিবার্তা/শিমুল/তাওহীদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]