শিরোনাম
নেত্রকোনায় শিশু হত্যা
টয়লেটে দেহ ফেলে মাথা নিয়ে যায় খুনি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:০২
টয়লেটে দেহ ফেলে মাথা নিয়ে যায় খুনি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নেত্রকোনার কাটলী এলাকার একটি নির্মাণাধী ভবনের তৃতীয় তলার টয়লেটে শিশু সজিবকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রবিন মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ভবন থেকে সজিবেরমাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, গণপিটুনীতে নিহত যুবকের নাম রবিন মিয়া (৩০)। সে শহরের পূর্ব কাটলি এলাকার এখলাছুর রহমানের ছেলে।


গলাকেটে হত্যার শিকার শিশু সজীব একই এলাকার রিকশাচালক রইস উদ্দিনের ছেলে। তারা ওই এলাকায় হিরা মিয়ার ভাড়া বাসায় থাকত। রিকশাচালক রইস উদ্দিন ছিলেন রবিনের প্রতিবেশী। তাদের মধ্যে বেশ সুসম্পর্কই ছিল। রবিন পেশায় রিকশা চালক এবং মাদকাসক্ত।


রবিন নেত্রকোনার নিউটাউন অনন্ত পুকুরপাড়ে তারেক মিয়ার বাসার গেটের সামনে গেলে স্থানীয়রা তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেআটক করেন। পরে একটি ব্যাগের মধ্যে সজিবের মাথা পেলে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে নিহত হয় রবিন।


হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পুরনো কোনোজেদ বা বিকৃত মানসিকতা থেকেই সজিবকে খুন করেছে রবিন। শিশু সজিবের গলাকাটার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পারিবারিক দ্বন্দ্ব অথবা পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা হতে পারে।


তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছেলে ধরা বা পদ্মা সেতু গুজবের কোনো সম্পর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তদন্তাধীন বিষয়ে মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলে ধরা ও পদ্মা সেতুর গুজবের সাথে মিশিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে, যা অসত্য। ঘটনাটি পদ্মা সেতুর গুজবের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ সময়পদ্মা সেতু ও ছেলে ধরা সংক্রান্ত গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।


জানা যায়, রবিন ওই শিশুরই প্রতিবেশী এবং এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত যুবক। যদি গণপিটুনি দিয়ে রবিনকে না মেরে ফেলা হত তবে প্রকৃত ঘটনা পুলিশের মাধ্যমে অথবা সরাসরি তার মুখ থেকে দেশবাসী দ্রুত সময়েই শুনতে পারত। আইন কারো হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ নেই।


অপরিচিতি হলেই সন্দেহ করে কাউকে মারপিট করা যাবে না। এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্তে নিজেও অপরাধী হয়ে যেতে পারেন। এতে যে কাউকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। এলাকা, পাড়া বা মহল্লায় অপরিচিত ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আগে তার সাথে কথা বলুন এবং তার পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হন। তারপর কোথাও কোনো সমস্যা মনে হলে পুলিশকে সংবাদ দিন।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com