উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৭ সেমি বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।বন্যার্ত মানুষেরা উঁচু বাঁধ, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছে।ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৩৩ মিটার।যা বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে (ডেঞ্জার লেভেল ১৩.৩৫)। গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।তবে এদিনে পানি বৃদ্ধির অনেকটা কমেছে।শুক্রবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত পানি বাড়লেও বিকেল থেকে কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।এদের মধ্যে ৩৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বন্যার্ত মানুষ।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ৫৫ হাজার ৭২৪টি পরিবার।এদের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৯৫৯টি।১ হাজার ৩৪৭টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং ২৭ হাজার ৬৩৩টি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।১৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আরো ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যেই বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে।বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে গেছে।স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৩৫৩.৩ মেট্টিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।মজুদ রয়েছে ৩৪৬.৭ মেট্টিক টন চাল, ৩ লাখ টাকা। আরো ৫ লাখ টাকা, ৫০০ মেট্টিক টন চাল ও চার হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]