পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, কুশিয়ারা নদীর দুইকুল রক্ষার জন্য ৭.৪ কিলোমিটারে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও খননে ৫১৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ১টার দিকে শেরপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চযোগে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক, আউশকান্দি, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বন্যায় কবলিত গ্রাম ও ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করেন।

দীঘলবাক ইউনিয়নের বিবিয়ানা নর্থপ্যাড নিকটবর্তী মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারকিয়ার সভাপতিত্বে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান।

এসময় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জে ৯০০ টন চাল, ৪,০০০ শুকনা খাবার, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও ঔষধ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বন্যার্ত মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। খাদ্য, চিকিৎসা ও ঔষধের জন্য আপনাদের কোনো কষ্ট হবে না।

পরে বন্যা কবলিত ১,০০০ ব্যক্তির মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রীগণ।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদফতরের মহা-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি প্রমুখ।

বিবার্তা/ছনি/জহির