টাঙ্গাইলে যমুনার নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ১১১টি গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার পর্যন্ত বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলায় নদী তীরবর্তী ২২ ইউনিয়নের প্রায় ১০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর এতে প্রায় ১৭ হাজার ৮শ’ পরিবারের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরে। বেশ কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী লোকের সংখ্যা আরো বেড়েছে।
প্লাবিত উপজেলাগুলো হলো- টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী ও নাগরপুর। জেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি এবং প্রায় ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও ১৯১২ হেক্টর ফসলি জমি এবং সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার রাত ১১টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলার তাড়াই এলাকার বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তীব্র স্রোতে নদীর পানি প্রবেশ করায় ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ি। এছাড়া ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি লিকেজ হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ রক্ষায় কোন উদ্যোগ না নেয়ায় গ্রামবাসী চেষ্টা করেও বাঁধটি রক্ষা করতে পারেনি।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ২০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কথা জানালেও অধিকাংশ বানভাসি মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিবার্তা/তোফাজ্জল/তাওহীদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]