শিরোনাম
লামায় খাল ভাঙ্গনের কবলে ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৯
লামায় খাল ভাঙ্গনের কবলে ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা খাল ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইয়াংছা মাদ্রাসা ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানা।


ইতোমধ্যে মাদ্রাসাটির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের ওযুখানাসহ অধিকাংশ জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনি ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে চলতি বর্ষায় মৌসুমেই ভবনসহ বাকি অংশটুকু উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের টানে খালে বিলীন হয়ে যেতে পারে।


এতে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়বে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার প্রায় তিনশ কোমলমতি শিক্ষার্থী। ১৯ বছরের পুরাতন এ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ সরকারের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।


জানা যায়, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানেও এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি ছাড়া ওই এলাকায় আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটির মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা পরিচালনার মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তার করে আসছে।


স্থানীয় জনসাধারণ ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় চলে মাদ্রাসাটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে মাদ্রাসা শাখায় প্লে থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত দুইশত শিক্ষার্থী, ৬ষ্ট থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থী, এতিমখানায় ২২জন শিশু অধ্যয়নরত আছে।


পাশাপাশি মাদ্রাসাটিতে সকাল বেলায় পরিচালিত মক্তবে দুই-শতাধিক শিশু দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করছে। ১২ জন শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি দ্বারা মাদ্রাসাটি এগিয়ে চলছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে ইয়াংছা খালের আগা থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে মাদ্রাসাটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ইতোমধ্যে ওযুখানার একাংশ খালে ধসে পড়েছে। এছাড়া মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনসহ অন্য ভবনগুলোও যে কোন মুহূর্তে খালে বিলীন হয়ে যেতে পারে।


মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন, ইয়াংছা খালের পানির স্রোতের টানে মাদ্রাসা ভবন ও স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নিজস্ব তহবিল না থাকায় ভাঙ্গন-রোধে পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা।


তিনি আরো বলেন, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে অতিশীঘ্রই মাদ্রাসাটি খালে ধসে পড়তে পারে। তাই মাদ্রাসাটি রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও লামা উপজেলা প্রশাসনের জরুরী সহায়তা কামনা করছি।


স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আপ্রুচিং মার্মা ও শহীদুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসাটি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯, ৪ ও ১নং ওয়ার্ডের একমাত্র ধর্মীয় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে মাদ্রাসাটি যে কোন মুহুর্তে খালে বিলীন হতে পারে। এত অধ্যয়নরত কোমল মতি শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়বে।


এ বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, মাদ্রাসাটির ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছি। অতি স্বল্প সময়ে ব্যাপকভাবে ভেঙ্গে গেছে মাদ্রাসাটি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল।


বিবার্তা/আরমান/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com