শিরোনাম
হালদা বাঁচাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৪
হালদা বাঁচাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের অভিযোগে হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। পাশাপাশি ইটিপি নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


বুধবার (১৭ জুলাই) নদী দূষণের বিষয়ে শুনানি শেষে অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন এ নির্দেশ দেন।


হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শফিউদ্দিন আহমদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. এরফানুল কিবরিয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তারা।


অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান বলেন, কয়েকদিন আগে সরেজমিন পরিদর্শনে পাওয়ার প্ল্যান্টের অপরিশোধিত বর্জ্যে নদী দূষণের প্রমাণ মিলেছে। নদী দূষণ ও ইটিপি কার্যকর না থাকায় হাটহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টকে শুনানি শেষে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ইটিপি নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


৯ জুলাই হাটহাজারীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্জ্য তেলে হালদা দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। ওইদিনই অধিফতরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হতে নোটিস দেন।


বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে হালদা নদী সংলগ্ন মরা ছড়া খালে বর্জ্য তেল ফেলার অভিযোগ পেয়ে ওইদিন সকালে ঘটনাস্থল হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় মরা ছড়া খাল পরিদর্শন করেন ইউএনও মো. রুহুল আমিন।


তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তেল ছাড়া হয়নি’ বলে সে সময় দাবি করেন হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বেশি বৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতরের নালাগুলো ও রাস্তা পানিতে ভেসে যাওয়ায় তেল বাইরে চলে গেছে।


২০১২ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ওই বছরই দুই দফা কেন্দ্রটিকে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে নোটিস দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।


ওইসময় দূষণের অভিযোগে প্ল্যান্টটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইটিপি নির্মাণের শর্তে জরিমানা মওকুফ করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইটিপির নকশার অনুমোদন নেয়া হলেও তা নির্মাণ করা হয়নি।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com