শিরোনাম
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৬:৩৭
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলায় গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুফিদ আলম (৩৯) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন।


পুলিশের দাবি, নিহত মুফিদ আলম মাদক চোরাকারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে। মুফিদ স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নয়াপাড়া গ্রামের মৃত নজির আহমদের ছেলে।


শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পেছনে নাফ নদের পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।


টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত মুফিদ একজন চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি।


মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়াপাড়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর মুফিদ জানান, ইয়াবার একটি বড় চালান নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পেছনে নাফ নদের পাশে মজুদ রয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।


সেই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুফিদের সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা চোরাকারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও মনির হোসেন আহত হন।


পুলিশও জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা ৩৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে একপর্যায়ে আটক মুফিদ আলম গুলিবিদ্ধ হন। অস্ত্রধারী মাদক চোরাকারবারিরা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি করে বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া দুটি দেশীয় বন্দুক, ১০ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।


গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ মুফিদ আলমকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে মুফিদ আলম এলাকায় ক্ষুদ্র পান ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এর কয়েক বছর পর এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে লবণ সংগ্রহ করে ঢাকায় সরবরাহ করতেন। এভাবে ২০১২ সালের পর থেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বহু টাকার মালিক বনে যান।


উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মুফিদ আলম আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওয়ার্ড কমিটির সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি দলের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।


ইয়াবা চোরাকারবারি বিএনপি-জামায়াত সব দলের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায়ভার দল নেবে না।


বিবার্তা/মানিক/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com