নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মিঞা মো. হাসান আলী রেজার গলিত লাশ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন- লৌহজং নদীর কচুরিপানার ভেতরে একটি লাশ ভেসে উঠেছে।পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করলেও পরিচয় সনাক্ত করতে পারছিল না।
টাঙ্গাইল মডেল থানায় পরিবার নিখোঁজের সন্ধানে জিডি করলেও পুলিশ কুলকিনারা করতে পারেনি।
আগে থেকেই বাবার সন্ধানে দিশেহারা ছেলে মাহমুদুল হাসান লিটু খবর পেয়ে ছুটে যান।এরপর তিনি লাশ সনাক্ত করেন।
এ সময় আক্ষেপ করে মাহমুদুল হাসান লিটু বলেন, আমার বাবা রণাঙ্গনের যোদ্ধা।একাত্তরে উনার মৃত্যু হয়নি।যে দেশ স্বাধীন করলেন সেখানেই তাকে কেন এভাবে মরতে হলো? জীবনের শেষপ্রান্তে এসে স্বাধীন দেশে এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।এর জন্য নিশ্চয় আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেননি।
তিনি খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, হাসান আলী রেজাকে অন্য কোথাও হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলা হয়েছে। প্রবীণ এই আইনজীবীকে জীবিত উদ্ধারে পুলিশ সব চেষ্টায় করেছেন বলেও দাবি করেন ওসি।
৭৬ বছর বয়সী হাসান আলী রেজা স্ত্রী রাবেয়া হাসান, মেয়ে মাহমুদা হাসান মিতু, ছেলে রাশেদুল হাসান টিটু ও মাহমুদুল হাসান লিটুকে রেখে গেছেন।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন হাসান আলী রেজা।সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হাসান আলী রেজার নিখোঁজের বিষয়ে আগে সংবাদ সম্মেলন করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার জানান, হাসান আলী রেজা ৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া বাসা থেকে চা খাওয়ার জন্য বের হন।এরপর ওই এলাকার একটি সিসিটিভির ফুটেজে হেলমেট ও রেইনকোর্ট পরা এক যুবকের মোটরসাইকেলের পেছনে তাকে দেখা যায়।তারপর থেকেই হাসান আলী রেজা নিখোঁজ ছিলেন।
বিবার্তা/মোল্লা তোফাজ্জল/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]