সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা ট্রলারের আরও তিন জলের লাশ পাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় এ দাঁড়িয়েছে।
এদের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার সকালে ট্রলারটি থেকে ৬ জনের লাশ এবং ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার ও মহেশখালীর সমুদ্র উপকূলে ভাসমান অবস্থায় আরও ৩ জনের লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্ট থেকে ১ জন, মহেশখালীর কুতুবজোম এলাকার থেকে ১ জন এবং কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া থেকে ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলারটিতে থাকা জেলেদের মধ্যে ৯ জনকে মৃত এবং ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।’
নিহত ৯ জনের মধ্যে যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা হলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন রসুলপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আসমান পাটোয়ারীর ছেলে শামছুদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), পূর্ব মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩২), উত্তর মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ (৪৫), একই এলাকার মৃত বুজুগ হাওলাদারের ছেলে আজি উল্লাহ ওরফে মনির (৩৮), মৃতমোহাম্মদ নুরের ছেলে অলি উল্লাহ (৫০), রসুলপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শষীবিষন এলাকার মুসলিম বলির ছেলে জাহাঙ্গীর বলি (৪০) এবং পূর্ব মাদ্রাজের মো. তরিক মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)।
লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান ওসি ফরিদ।
ওই ট্রলারের তিন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। জীবিত উদ্ধার ২ জেলে এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুর্যোগে পড়া ট্রলারটির মালিক ভোলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন পিটার ওরফে মিন্টু।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলে মনির আহমদ ওরফে জুয়েল মাঝি জানান, ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোলা চরফ্যাশনের ছমরাজ ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশে ট্রলারটি সাগরে নেমেছিল। তারা মোট ১৪ জন ছিলেন। গত ৬ জুলাই ভোরে ঝড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি উল্টে যায়।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]