চারদিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল স্রোতে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
তিস্তার পানি অব্যাহত বাড়ার কারণে উপজেলার বিদ্যানন্দ, নাজিমখান, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের ৩ হাজার বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২ হাজার বাড়ি-ঘরসহ ফসলি জমির ভাদাই ধান, শাক সবজি, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মাছের খামারসহ প্রায় ২ শতাধিক ছোট-বড় পুকুর।
কুড়িগ্রাম পনি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় তিস্তার বিপদসীমার ২৭.৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সব সুইচ গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে ভাটির দিকে নিম্নাঞ্চল ডুবে যেতে পারে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার সরকার জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ ৯টায় এ অঞ্চলের ৪.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) এর সামান্য পরিবর্তন ঘটতে পারে।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম জানান, পানি বন্ধীদের মাঝে এ পর্যন্ত কেউ সহযোগীতার হাত বাড়ায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান বলেন, প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি বলেন, দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পনি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে আজ-কালের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যা হতে পারে।
বিবার্তা/সৌরভ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]