ভারী বর্ষণ ও পাহাড় ধসের কারণে রাঙামাটি ও বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সড়ক যোগযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবানের কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়া এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সাথে মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। চারদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বড়দুয়ারা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কোমর পানিতে তলিয়ে যায় বেশ কয়েকটি সড়ক। এতে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া সোমবার বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবান-থানছি সড়কে যান চলাচল করতে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে যানবাহন মালিক সমিতি।
এদিকে সাঙ্গু নদীর পানি বিদপসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় থানচির কয়েকটি পর্যটন স্পটে প্রায় ৩০ জন পর্যটক আটকা পড়েছে। তবে তারা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রুমা ও থানচির বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভ্রমণের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে জেলা শহর ও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় ছোটখাট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো প্রাণহানি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা উপজেলা বাজারে নদীর পানি প্রবেশ করেছে।
এর আগে সোমবার বিকেল থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক পথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে লংগদু ও খাগড়াছড়ির মেরুং-দীঘিনালার আভ্যন্তরীণ সড়ক ডুবে গেছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পানি না বাড়লেও পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে নতুন করে আর কোনো পাহাড় ধসে ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]