শিরোনাম
টকমিষ্টি লটকনে কৃষকের মুখে হাসি
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫৭
টকমিষ্টি লটকনে কৃষকের মুখে হাসি
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শেরপুরের নকলা উপজেলায় লটকন চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় দিনদিন চাহিদা বাড়ায় লটকন চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।ভিটামিন সি, ডি ও কার্বোহাইড্রেড যুক্ত ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় বর্তমান বাজারে বেড়েছে এর চাহিদা। কম খরচে অল্প জমিতে এর ভালো ফলন হওয়ায় চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।


এ বছর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফল চাষের শুরুতে গাছের চারা ক্রয় ও রোপণ খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। তেমন কোনো পরিচর্যাও করতে হয় না। এ ফলের গাছ বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা পরিত্যক্ত জমিতে বেড়ে উঠতে পারে। হালফাটা, বুবি, লটকাসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত এ ফলটি। বিগত দশ পনের বছর আগে শুধু বশতবাড়ীর আঙ্গিনায় লটকনের আবাদ হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে ফলটি চাষ হচ্ছে। ফলন ভাল হওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা।


বর্তমানে আগাম জাতের কিছু লটকন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যার খুচরা মূল্য প্রতিমণ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, পাইকারি মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।ছায়াযুক্ত স্থানে লটকন চাষ করে স্বাবলম্বী চাষিরা।


লটকন চাষি শরিফুল ইসলাম জানান, গত বছর তার ৭০ শতাংশ জমিতে ১২০টি লটকন গাছের ফল অগ্রিম ২ লাখ ২০ হাজার হাজার টাকায় এবং এ বছর ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘বাড়ির আঙিনায় এবং যেকোনো কাঠ বা ফলের বাগানেও লটকন চাষ কার সম্ভব। ছায়াযুক্ত স্থানের লটকন মিষ্টি বেশি হয়। তাই এটা চাষ করতে বাড়তি জমির দরকার হয় না।তা ছাড়া ঝুঁকিমুক্ত এ ফলের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।


বিবার্তা/জাহিদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com