শিরোনাম
নড়াইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দুগ্ধ খামার
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৮
নড়াইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দুগ্ধ খামার
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নড়াইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামার। খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা কৃষির পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন পারিবারিক ক্ষুদ্র দুগ্ধ খামার। ইতোমধ্যে নড়াইল দুধের উদ্ধৃত জেলায় পরিণত হয়েছে। জেলায় দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র (মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ) স্থাপিত হলে, বাজার নিশ্চিতকরণসহ আরো নতুন নতুন খামার গড়ে উঠবে।


নড়াইল পৌর শহরের আলাদাৎ পুরের মো. সাইফুল্লাহ ২০০৪ সালে রসায়নে মাস্টার্স পাশ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে ২০০৬ সালে ৪টি গাভী নিয়ে গড়ে তোলেন দুগ্ধ খামার। নিজেই হয়েছেন উদ্যোক্তা, করেছেন অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। বর্তমানে তার খামারে মোট শতাধিক গরু রয়েছে।


তিনি জানালেন, অনেক বেকার যুবক তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দুগ্ধ খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। নড়াইলে দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র (মিল্ক ভিটা, আড়ং, প্রাণ) স্থাপিত হলে, বাজার নিশ্চিতকরণসহ আরো নতুন নতুন দুগ্ধ খামার গড়ে উঠবে।


আইনজীবী হেমায়েত উল্লাহ (হিরু) আইন পেশার পাশাপাশি ২০১৪ সালে খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৩০০ থেকে ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। নিয়মিত ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন তার খামারে। মিষ্টির দোকান ও বাজারের গুড়ো দুধ নিয়ন্ত্রণ করলে গরুর দুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন তিনি (হেমায়েত উল্লাহ হিরু) স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি দুগ্ধ খামার শ্রমিকেরা।


জেলার সাতঘরিয়া, তালতলা, কচুবাড়িয়া, এগারখানসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা কৃষি কাজের পাশাপাশি ক্ষুদ্র দুগ্ধ খামার (উন্নত জাতের গাভী) গড়ে তুলছেন। এরমধ্যে জেলা শহর সংলগ্ন সাতঘরিয়া গ্রামের ১০০টি পরিবারের প্রত্যেকটি পরিবারে রয়েছে ৩ থেকে ৫টি গাভী। এ গ্রামেই প্রতিদিন উৎপাদিত হয় ৫০০লিটারের বেশি দুধ।


সাতঘরিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র খামারীরা জানালেন, উন্নত জাতের গাভী পালন করে তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরেছে। তবে মাত্র ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার জন্য বর্ষাকালে উৎপাদিত দুধ বাজারে পৌঁছাতে পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। খামারীদের দুধ বাজার জাতকরণের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এল ডি ডি পি (লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডেইরী প্রডাকশান) প্রজেক্টের কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। এ প্রাজেক্টের কাজ শেষ হলে দুধ বাজারজাতকরণের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।


জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মারুফ হাসান জানান, দুধের বাজার জাতকরণ নিশ্চিত হলে আরো অনেক দুগ্ধ খামার গড়ে উঠবে নড়াইলে। দুধের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যান্য স্থানেও দুধ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এখানকার খামারীরা।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com