গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লিয়ন সিদ্দিকী (৩৮) নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। উপজেলার সিনাবহ এলাকায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

লিয়ন একই উপজেলার সফিপুরের শফিউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জয়দেবপুর থানার একটি হত্যা ও মাদক মামলায় সোমবার রাতে পুলিশ লিয়নকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে। রাতে তার দেয়া তথ্যমতে এসআই আতিকুর রহমান রাসেলের নেতৃত্ব কালিয়াকৈর থানা পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।

একপর্যায় তারা সিনাবহ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা লিয়ন বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে পালিয়ে যাওয়ার সময় লিয়ন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় লিয়ন বাহিনীর অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলে আহতাবস্থায় লিয়নকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ হামিদ ওরফে হামিদ মেম্বার ডাকাত বলে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

সোমবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়ার নৌঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামিদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সে টেকনাফের সদস ইউনিয়নের মহেষখালীয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, হামিদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সে একজন শীর্ষ ডাকাত ছিল। তার বিরুদ্ধে ১০টি ইয়াবা, হত্যা ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকালে হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে সদরের মহেষখালীয়া পাড়ার নৌঘাটে এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল।

এ সময় হামিদের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশও অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে হামিদকে গুলিবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে কক্সবাজারে পাঠালে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বিবার্তা/জাকিয়া