শিরোনাম
মেরামতের তিন মাসের মধ্যে লামা-সুয়ালক সড়কে ধস
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৯, ১০:৩৭
মেরামতের তিন মাসের মধ্যে লামা-সুয়ালক সড়কে ধস
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মেরামতের তিন মাসের মাথায় বান্দরবান জেলার লামা-সুয়ালক সড়ক ধসে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের। এতে করে সড়ক ফের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যান চলাচল।


মেরামত কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, স্পেসিফিকেশন, সিডিউল ও প্রাক্কলন মোতাবেক মেরামত কাজ বাস্তবায়ন না করার কারণে সড়কটি জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ ও গাড়ি চালকরা। সড়কের ধস ঢাকতে বালির বস্তা ব্যবহার করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।


সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী লামা-সুয়ালক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে লামা ও আলীকদম উপজেলার মানুষ বান্দরবান সদর ও লোহাগাড়া উপজেলায় চলাচল করে থাকে। এছাড়া এই সড়ক হয়েই উপজেলা সদরে যাতায়াত করে উপজেলার গজালিয়া, সরই ও আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বি অংশের লক্ষাধিক মানুষ।


গত বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের কারণে লামা-সুয়ালক সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সড়কটি মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবান করে। বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সিএইচটি-জিওবি (রক্ষণাবেক্ষণ) প্রকল্পের আওতায় লামা-সুয়ালক সড়কের চেইনেইজ ২০০০ থেকে ৫০০০ মিটার পর্যন্ত ৭৭ লাখ টাকা এবং চেইনেইজ ৫০০০মিটার থেকে ৯০০০মিটার পর্যন্ত ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে মেরামতের জন্য মেসার্স মিলন ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে।


গত বছর ২১ এপ্রিল মেরামত কাজ শুরু করে চলতি বছরের মার্চ মাসে মেরামত কাজ সম্পাদন করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।



অভিযোগ উঠেছে, কাজ বাস্তবায়নে সিডিউল মোতাবেক কার্পেটিং রোড মেরামত করা হয়নি। এছাড়া টু-ওয়াল ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিমাণমত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়নি। এ কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। কার্পেটিং মেরামতের থিকনেস সিডিউল মোতাবেক ১২ মি.লি দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগে জানা গেছে।


সড়কে চলাচলকারী গাড়ি চালক আবুল হোসেন, মোটর সাইকেল চালক কালাম, ফরহাদসহ অনেকে বলেন, সড়কের শিলেরঝিরিতে কালভাট নির্মাণ করা হলেও উভয় পাশের এপ্রোজে প্রোটেকশন ওয়াল দেয়া হয়নি। এসব কারণে বর্ষা মৌসুমের যে কোনো মুহুর্তে লামা-সুয়ালক সড়কের বিরাট অংশ ধসে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সরেজমিন দেখা যায়, শিলেরঝিরি এলাকায় সড়কের একপাশ ধসে পড়েছে। পাশের ব্রিজটির দু পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সড়কের ধসকৃত স্থানে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।


ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেমার্স মিলন ট্রেডার্সের পক্ষে মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শিলেরঝিরি এলাকায় কালভার্ট নির্মাণ করে উভয় পাশের এপ্রোজ রোডে মাটি ভরাটের কম্পেকশান না হওয়ায় ও বৃষ্টির কারণে সড়কে ধস নেমেছে। ধসের স্থান মেরামত করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।


এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, লামা-সুয়ালক সড়কের মেরামত কাজ শেষ হলেও আমরা সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণ করে যাব। কোনো অংশে সমস্যার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক মেরামত করা হবে।


বিবার্তা/আরমান/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com