বাগেরহাটের শরণখোলায় স্বামীর নির্যাতনে বড় বোনের এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছোট বোনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- উত্তর কদমতলা গ্রামের জেলে আলম খানের মেয়ে মেঘনা (২০) এবং তামান্না (১২)।
স্বামীর নির্যাতনে নিহত মেঘনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, এক বছর আগে খোন্তাকাটা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সেলিম তালুকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় মেঘনার। বিয়ের পর থেকে সেলিম তাকে নির্যাতন করে আসছিল। সম্প্রতি শারীরিক মানসিক নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেঘনাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার বাবা। পরে রবিবার সকালে বাবার বাড়িতেই মারা যায় সে। মৃত্যুর খবরে ওই বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেন। এসময় মেঘনার ছোট বোন তামান্না বৈদ্যুতিক পাখার সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তামান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার বলেন, স্বামীর নির্যাতনে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ চার জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতায়িত হয়ে তামান্না মারা যাওয়ার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে তামান্নাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বির্বাতা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]