বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে সারাদেশের মধ্যে এই প্রথম নাটোরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙ্গুলের ছাপ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার পুলিশ লাইন্স মাঠে শনিবার ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। একজনের পরীক্ষা অন্য কেউ যেন না দিতে পারে সেজন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল থেকে নাটোর পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ টিআরসি পদে জেলার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার প্রথমে শারীরিক গঠন এবং উচ্চতা মাপা হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষ পদে ২৩ জন, নারী পুলিশ সদস্য পদে চারজন, বিশেষ কোটায় অপূরণকৃত পদে পুরুষ ২৪ জন, নারী পুলিশ সদস্য পদে ১৮ জনসহ সর্বমোট ৬৯ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে ।
এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের গতিবিধি ও কেন্দ্রের চারপাশের অবস্থানরত মানুষদের গতিবিধি সার্বক্ষণিক ড্রোনদ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। যাতে করে কেউ অন্যায়ের আশ্রয় নিতে না পারে। তবে নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ স্বচ্ছ করতে আগে থেকেই জেলা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার ও টিআরসি পদে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতিতের সকল রেকর্ড ভেঙে আমরা নাটোর জেলায় পুলিশ সদস্য নিয়োগ করতে চাই। এজন্য আমরা দেশের মধ্যে প্রথমবার নাটোর জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এছাড়া ড্রোনদ্বারা সকলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। শুধু মাত্র এক’শ টাকার ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে একজন প্রার্থী যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবে।
বিবার্তা/সাকলাইন/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]