শিরোনাম
বেনাপোলে আ.লীগ অফিস ভাঙচুরের ১ সপ্তাহেও আটক নেই
প্রকাশ : ০২ জুন ২০১৯, ১৯:১৮
বেনাপোলে আ.লীগ অফিস ভাঙচুরের ১ সপ্তাহেও আটক নেই
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

২৫ মে গভীর রাতে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।


দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শার্শায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ রয়েছে। সেই সূত্র ধরে বেনাপোলে আওয়ামী লীগের দুটি অফিস রয়েছে। এর একটি স্থানীয় এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সমর্থিত আর অন্যটি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সমর্থিত। মেয়র আশরাফুল আলম সমর্থিত আওয়ামী লীগ অফিসে প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে এমপি শেখ আফিল উদ্দিন সমর্থিত অফিস শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনের সামনে অবস্থিত ইফতারের আয়োজন করা হয় না।


মেয়র সমর্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বাড়ির মালিক বজলুর রহমান ও তার স্ত্রী এবং স্থানীয়রা জানান, ২৭ মে গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী মুখে কাপড় বেঁধে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে তছনছ করে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে সাজানো অফিসের সকল ধরনের ছবি কুপিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। অফিসের চেয়ার টেবিল, টিভিসহ সকল আসবাবপত্র কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়। ওই অফিসের কাজে ব্যবহৃত দুটি কম্পিউটারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। বেনাপোল পোর্ট থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।


অভিযোগ রয়েছে, ভিডিও ফুটেজে আসামিদের চেনা গেলেও তাদের আটক করছে না পুলিশ। অভিযোগকারীরা জানান, বেনাপোল বাজারে প্রকাশ্যে আসামিরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ আটক করছে না।


শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আজিবর রহমান বলেন, বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে তা অত্যন্ত কলঙ্কিত। জাতির জনকের ছবি, তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বাণী সেই সাথে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও ছবি যারা রাতের আঁধারে চোরের মতো ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে আর যাই হোক তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী হতে পারে না। এরা পাকিস্তানি দোসর। কারণ পাকিস্তানিরাও রাতের আঁধারে বাঙালির ওপর অত্যাচার করেছিল। তাই ওই হায়েনা পাকিস্তানি ও এই কুলাঙ্গারদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের আসামিদের দ্রুত আটকের জন্য পুলিশের কাছে তিনি আবেদন জানান।


বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ মাস্টার বলেন, রাতের অন্ধকারে রমজান মাসে মেয়র লিটনের ইফতার পার্টির জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে যার ইন্ধনে এ কলঙ্কিত কাজ সংঘটিত হয়েছে সে ক্ষমার অযোগ্য। সে নিঃসন্দেহ মানুষ নামের কলঙ্ক।


যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোলপৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমি কোনো সংঘাতে বিশ্বাস করি না। আমি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। যারা এমন ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ ঘটিয়েছে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঘাত করেছে।


বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই সন্ত্রাসীরা ধরা পড়বে।


বিবার্তা/তুহিন/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com