দিনাজপুরে বিষাক্ত হাইড্রোজ ও রাসায়নিক সার, মিশিয়ে তামরি চালের মুড়ি ভাজছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, উপশহরের ৭ নম্বর ব্লকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান কাউলের একটি রাইস মিল ভাড়া নিয়ে হেলাল নামে এক ব্যক্তি ওই ভেজাল মুড়ির কারখানা চালিয়ে আসছে। রাইস মিলটি বন্ধ করে চালানো হচ্ছে এই ভেজাল মুড়ি কারখানা। ওই কারখানাটি আগে চালাতেন বিজয় নামে এক ব্যক্তি। সৎ ভাবে মুড়ির কারখানা চালাতে গিয়ে তার লোকসান হয়। ফলে তিনি এ ব্যবসা ছেড়ে দিলে তার ম্যানেজার হেলাল ওই কারখানার মালামাল ক্রয় করে নিয়ে নিজে অধিক টাকা ভাড়া নিয়ে ওই মিলে ভেজাল মুড়ির কারখানা চালিয়ে আসছেন। বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে মুড়ি ভাজা হয়।
হেলাল জানান, প্রশাসককে ম্যানেজ করেই এই ভেজাল মুড়ির কারখানা চালিয়ে আসছি। কিছু করার থাকলে করেন।
হেলালের ভেজাল মুড়ির কারখানার এক কর্মচারী বিবার্তাকে জানায়, প্রকৃত মুড়ির চাল দিয়ে মুড়ির কারখানা চালালে লোকসান হবে। তাই কম দামের ভেজাল চাল দিয়েই মুড়ি ভাজা হচ্ছে। যদিও মুড়ির চাল মাখানোর সময় আয়োডিন যুক্ত লবণ মেশানোর কথা, কিন্তু আয়োডিন যুক্ত লবণ মেশালে মুড়ি ফুলবে না, তাই সাধারণ লবণ ও হাইড্রোজ মিশিয়ে মুড়ির চাল মাখাতে হয়।
শুধু হেলালেই নয়, দিনাজপুরে প্রায় শতাধিক কারখানায় ভাজা হচ্ছে এসব বিষাক্ত মুড়ি। দেখতে সাদা আবার কোনটা লালচে ও সুন্দর আকর্ষণীয় মেশিনে ভাজা বিষাক্ত মুড়ির বাজার দখল করায় হাড়িতে হাতে ভাজা মুড়ি প্রায় বাজার শূন্য হয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতায় এখন হাড়িতে হাতে ভাজা মুখরোচক-সুস্বাদু মুড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল কুদ্দুস জানান, এসব ভেজাল মুড়ি খেয়ে উচ্চ রক্ত চাপ, আলসার, ক্যান্সার, কিডনি বিকলসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাই, স্বাস্থ্য রক্ষায় মুনাফা, লোভী ও অসাধু মুড়ি ব্যবসায়ীদের দমন জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিবার্তা/শাহী/তাওহীদ/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]