কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার ভোরে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলো টেকনাফের রঙ্গিখালীর রোহিঙ্গা শিবিরের সুলতান আহমদের ছেলে আবদুল গফুর (৪০) ও রকরুনতলীর মৃত শরিফের ছেলে মোহাম্মদ সাদেক (২৩)।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সল হাসান খান বলেন, শনিবার ভোরে নাফ নদী পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফের কায়ুকখালী খালে পাচার করা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে বিজিবির একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এদিকে দিনাজপুরের হিলিতে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সীমান্তের চেংগ্রাম গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

দেলোয়ার হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে ৫শ বোতল ফেনসিডিল ও তিনটি দেশীয় চাপাতি উদ্ধার করেছে বিজিবি।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ভারত থেকে দেশে প্রবেশের সময় হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকা থেকে ৯৫৮পিস ইয়াবাসহ দেলোয়ারকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় মাদক চোরাকারবারীরা প্রচুর মাদক ও ইয়াবা গাড়িতে ভর্তি করে পাচার করেছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় সে।

তিনি বলেন, তার দেয়া তথ্যমতে রাত ২টার দিকে হিলি সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় বিজিবির এক প্লাটুনের একটি বিশেষ টিম তাকে নিয়ে ইয়াবা পাচারকারীদের ধরার জন্য যায়। আগে থেকেই সেখানে ওঁৎপেতে থাকা মাদক পাচারকারীরা সংঘবদ্ধভাবে বিজিবির টহল দলের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।

এ সময় বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের গুলিতে দেলোয়ার গুলিবদ্ধ হয় এবং বিজিবির নায়েক দেলোয়ার, লে. নায়েক মামুন ও সৈনিক মতিন আহত হন। পরে দ্রুত দেলোয়ারকে উদ্ধার করে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বিজিবি সদস্যরা জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/তাওহীদ/জাকিয়া