কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম(২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ার চর গ্রাম এলাকায় জিঞ্জিরাম নদী তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মাইদুল ইসলাম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের সাইজুদ্দিনের ছেলে।

এর আগে বুধবার রাত ৩টার দিকে রৌমারী উপজেলার পুর্বকানিয়ারচর সীমান্তের ১০৭৮ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের নিকট বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে গরু আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের চোরাকারবারিদের সহায়তায় বাংলাদেশের ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল পুর্বকানিয়ারচর সীমান্তের ১০৭৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের নিকট গরু আনতে যায়। এ সময় ভারতের দিয়ারা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মাইদুল ইসলামকে অন্যান্য সঙ্গীরা কাঁধে করে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইনি জটিলতা এড়াতে মাইদুলের লাশ তার সঙ্গীরা জিঞ্জিরাম নদীতে পানির নীচে লুকিয়ে রাখে এবং বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার লাশ পানি থেকে উঠিয়ে সীমান্ত এলাকায় ফেলে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেলে গরু ব্যবসায়ীর লাশ আর নদী থেকে উঠাতে পারেননি তার সঙ্গী ব্যবসায়ীরা। পরে সকাল থেকে জাল ও হাজারী বড়শী দিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মাইদুলের লাশ খুঁজতে থাকে পুলিশ ও বিজিবি। বিকেলে হাজারী বড়শীতে লাশ আটকে গেলে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/সৌরভ/আকবর