ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি গ্রাম থেকে অপহরণ হওয়া চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেনকে উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

রিয়াদকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। রিয়াদ উপজেলার বগেরগাছি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ সময় অপহরণকারী তাইজুল ইসলাম স্বপন ওরফে মুন্নাকে আটক করে পুলিশ। আটক মুন্না উপজেলার বগেরগাছি গ্রামের শুকুর মোল্লার ছেলে।

পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রিয়াদকে অপহরণের পর ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখা হয়। এরপর মোবাইলে রিয়াদের পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সমগ্র বিষয়টি কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তদারকি করে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা দেয়ার পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে প্রথমে অপহরণকারী স্বপনকে আটক করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে রিয়াদকে উদ্ধার করা হয়।

শিশু উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে রিয়াদকে উদ্ধার ও অপহরণকারী স্বপনকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান স্যারের মাধ্যমে শিশুটিকে বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শনিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বগেরগাছি গ্রামে আত্মীয় পরিচয়ে বাড়িতে এসে রিয়াদকে অপহরণ করে স্বপন।

বিবার্তা/কোরবান/তাওহীদ/জাকিয়া