জয়পুরহাট জুড়ে বোরো ধান কাটা-মাড়াই উৎসব চলছে। শনিবার পর্যন্ত শতকরা ২৫ ভাগ বোরো ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সার, বীজ, কীটনাশক, পানি সেচ ও শ্রমিকসহ প্রতিবিঘা জমিতে গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। ধানের ফলন হয়েছে জাত ভেদে বিঘা প্রতি ২৮ থেকে ৩৩ মন।
জেলার ধানের বাজার হিসাবে খ্যাত পুরানাপৈল, জামালগঞ্জ ও বটতলী বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ধান বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে সাড়ে ৫ শ’ থেকে ৬ শ’ টাকা মণ (৪০ কেজি)। আভ্যন্তরীন খাদ্য মজুদের জন্য সরকারিভাবে এবার ধানের বদলে চাল সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে মিল মালিকদের সঙ্গে ১৮ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের চুক্তি সম্পাদন করেছে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ।
জেলায় চাষ হওয়া উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের বোরো ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি-ধান-১৬, ২৮, ২৯, ৫০, ৫৮, ৬২, ৬৩ এবং ৬৪। এ ছাড়াও রয়েছে জিরাশাইল, কাজল লতা ও মিনিকেট ধান।
হাইব্রিড জাতের মধ্যে রয়েছে এস এল-৮, তেজ, তেজ গোল্ড, হিরা-২, ৩, ৪, ৫, এসিআই-১, ২, ৩, ৪ ও ৫। এ ছাড়াও রয়েছে মানিক রতন, বিজলী, স্পাহানী, আলোড়ন, জাগড়ন, তিনপাতা সুপার, সুফলা, দুর্বার, সাথী।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৮ হাজার ৫ শ’ ৭১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৭০ হাজার একশ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন।
তিনি জানান, গত মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার একশ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল। চাল উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩শ’ ৭৮ মে. টন, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]