যশোর-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক পুনঃনির্মাণ কাজ করার সময় শ্রমিককে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করেছে হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সন্ন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শ্রমিকের নাম সিরাজুল ইসলাম (২৫)। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার রুপদিয়া এলাকায়।

পুলিশের অভিযুক্ত সদস্যের নাম পলিটন মিয়া। তিনি হাইওয়ে পুলিশের নাভারণ সার্কেলের সার্জেন্ট পদে কর্মরত।

শ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডে সিরাজুল সিগন্যালম্যান হিসেবে কাজ করেন। আহত অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, যশোর শহরের সন্ন্যাসী দীঘিরপাড় এলাকায় সড়কের একপাশে স্কেভেটর দিয়ে সড়ক খুড়ে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। অন্যপাশ দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। একপাশে যানবাহন আটকে অন্যপাশের যানবাহন ওই অংশ দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। এ সময় একটি প্রাইভেট কার থামানোর সংকেত দিলে গাড়ির ভিতর থেকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে গাড়ির ভিতরে থাকা লাঠি দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন। পুলিশের লোক বুঝতে পেরে শ্রমিকদের অন্যরা ভয়ে এগিয়ে আসতে সাহস করেননি। এ সময় গাড়ি নিয়ে তিনি দ্রুত বেরিয়ে যান। পরে শ্রমিকেরা ওই কাজ বন্ধ করে বিচারের দাবিতে সড়কের উপর স্কেভেটর যন্ত্র পাশে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন শিকদারের হস্তক্ষেপে ঘন্টাখানেক পরে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকেরা।
সার্জেন্ট পলিটন মিয়া বলেন, ওই ছেলেটির হাতে একটা লাঠি ছিল। গাড়ি থামানোর সংকেত দিয়ে ওই লাঠি দিয়ে আমার গাড়িতে আঘাত করে। এরপর আমিও তাকে লাঠি দিয়ে দুইটা বাড়ি দিয়েছি। তিনি বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টির মীমাংসাও হয়ে গেছে।

বিবার্তা/তুহিন/আকবর