শিরোনাম
নুসরাত হত্যা: রুহুল আমিনসহ তিন জনকে আদালতে হাজির
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৯
নুসরাত হত্যা: রুহুল আমিনসহ তিন জনকে আদালতে হাজির
ফাইল ছবি
ফেনী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, জাবেদ ও কামরুন নাহারকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।


শনিবার বিকেল ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিনের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এর আগে শুক্রবার সোনাগাজী তাকিয়া রোড থেকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয়।


পিবিআই-এর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


এদিকে কামরুন নাহার মনিকে ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ এপ্রিল তাকে ৭দিনের রিমান্ড দেন আদালত।


অপরদিকে জাবেদকে ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন থেকে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে আবার তিন দিনের রিমান্ড দেয়।


পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, জাবেদ ও কামরুন নাহার মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন। আর রুহুল আমিনের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে।


এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তখন জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির নাম উল্লেখ করেন তিনি।


তারা জানান, জাবেদ ও মনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। মনি বোরকা সংগ্রহ ও নুসরাতের হাত-পা চেপে ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়।


অপরদিকে ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতেন বলেও এ দুইজনের জবানবন্দিতে উঠে আসে।


কিলিং অপারেশনের পর কিলাররা রুহুল আমিনকে ফোন করেন। তখন রুহুল আমিন বলেন, আমি জানি, তোমরা চলে যাও।


গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওই সময় সহপাঠী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে, এমন খবর দিলে নুসরাত ওই ভবনের ছাদে যান।


সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন।


কিন্তু অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।


ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চারজন।


১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই।


রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। তবে ওই কমিটি এরই মধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।


বিবার্তা/আব্দুল্লাহ/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com