অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সব ধরনের দাহ্য পদার্থ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ এবং তা বহন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বন সন্নিহিত লোকালয়ে শুক্রবার দিনভর মাইকিং ও জুমার নামাজের পর মুসুল্লিদের মাঝে প্রচার চালিয়েছে বন বিভাগ। একই দিন লোকালয়ে টানিয়ে দেয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত সতর্কীকরণ গণবিজ্ঞপ্তি।
‘ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট’ এ বনে জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ ইকোটুরিস্টরা যাতে কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ বহন করতে না পারে সেজন্য বনরক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেয়া হয়েছে কঠোর নজরদারী। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান জানান, শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনে আগুন লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিছু কিছু জেলে ও বনজীবী চোরাপথে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বনের মধ্যে ঢুকে রাতের আঁধারে ছোট-ছোট বিলের মিঠাপানির মাছ ও মধু আহরণ করতে যায়। এ সময় দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের কারণে অনেক সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে সবধরনের দাহ্য পদার্থ বহন-ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পাশাপাশি বন সন্নিহিত এসব লোকালয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর মাইকিং ও জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের মধ্যে প্রচার চালানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সুন্দরবনের কলমতেজী, গুলিশাখালী, নাংলী, কাটাখালী, বৈদ্যমারী, বরুইতলা, জিউধরা ও আমুরবুনিয়া খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বন সন্নিহিত এলাকায় লোকালয়ে শত-শত মানুষ বনজীবী।
ডিএফও মাহমুদুল বলেন, অনুমতিপত্র নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জেলে, বাওয়ালী, মৌয়াল ও ইকোটুরিস্টরা যাতে বিড়ি-সিগারেট, ম্যাচ-লাইটার ও মশালসহ কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ সাথে নিতে না পারেন, সেজন্য বনরক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেছে। পাশাপাশি সুন্দরবনে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নজরদারিও চালানো হচ্ছে।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]