নাটোরে গুরুদাসপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে সাথী (৭) নামে এক শিশু মৃত্যু হয়েছে। নুপুর (১০) নামে অপর এক শিশু গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ওই শিশু নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সাথী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ৫টার দিকে ঝড়ের সময় পার্শ্ববর্তী আব্দুর রাজ্জাকের আমবাগানে আম কুড়াতে গেলে ঝড়ে আম গাছের ডাল ভেঙ্গে তার ওপর পড়ে। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয় গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মজনু মিয়ার কন্যা। সে লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

অপর দিকে নুপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডালের নিচে চাপা পড়ে। তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

নুপুর ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের কন্যা বলে জানা গেছে। সে যোগেন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

নাজিরপুর ও বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ঝড়ে উপজেলায় আম, লিচু, কলা, কাঁঠালসহ ভুট্টা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে গেলে ধারাবারিষা ইউনিয়নের নারিবাড়ি গ্রামের লিচু চাষী শের মোহাম্মদ জানান, তার লিচু বাগানের পাঁচটি গাছ ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া গাছে গাছে যে পরিমান লিচু ছিল তা আর নেই। নাজিরপুর ইউনিয়নের পাচ-পুরুলিয়ার কলা চাষী জাহিদ হাসান মোল্লা জানান, বাগানের প্রায় দেড়শ' কলাসহ গাছ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছ। ঋণ নিয়ে কলা চাষ করেছি, পরিশোধ করবো কি করে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। সার্ভে চলছে, শেষ হলে জানা যাবে।

বিবার্তা/ডিএমদিলু/জাকিয়া