শিরোনাম
লামায় শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে হয়রানির শিকার শিক্ষকরা
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:২৩
লামায় শিক্ষা কর্মকর্তার হাতে হয়রানির শিকার শিক্ষকরা
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এসএমসি’র সদস্যরা। 

 

জানা যায়, লামা উপজেলায় সদ্য জাতীয়করণসহ মোট ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সৃষ্ট শিক্ষক পদ রয়েছে ৪৪১টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪২৪ জন শিক্ষক। অবসরে যাওয়ার ফলে ১৫ জন প্রধান ও দু’জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ সৃষ্ট না হওয়ায় ডেপুটেশনে শিক্ষক দিয়ে এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান চলছে।  

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এসএমসি’র সদস্য ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার মহাজনের স্বার্থান্ধতায় প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কারণে অকারণে শিক্ষকদেরকে চাপে রেখে অর্থ আদায় করে আসছেন তিনি। এছাড়া নিজের সুবিধা লুটতে পরস্পর বিরোধী কথা বলে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

জানা যায়, শিক্ষকদের জন্য ক্লাস্টার ট্রেনিংয়ে জনপ্রতি ২৪০ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সহকারী এই শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের মাসিক ক্লাস্টার ট্রেনিংয়ের সম্মানির পুরো টাকা শিক্ষকদেরকে না দিয়ে; ২০০ বা ১৫০ টাকা ধরিয়ে দেন। এছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষকদেরকে ট্রেনিংয়ে উপস্থিত দেখিয়ে ট্রেনিং ভাতা নিজে রেখে দেন।

 

সূত্র আরো জানায়, স্লিপ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রতিটির বিপরীতে ৪০ হাজার টাকা ও চারটি বিদ্যালয়ে শিশুবান্ধব পরিবেশের জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ হয়। স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান ও এসএমসির সদস্যদের সমন্বয়ে সংস্কারের কাজ করে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিল ছাড় করা হয়। অভিযোগ উঠেছে আশিষ কুমারের স্বার্থান্ধতায় শিক্ষকরা সরকারি বরাদ্দ তুলতে পারছেন না।

 

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মহাজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভ্যাটের টাকা কেটে নেয়ার কথা ও ক্লাস্টারের কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও অন্যান্য বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।

 

লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতিন্দ্র মোহন মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির করা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

বিবার্তা/আরমান/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com