শিরোনাম
রাঙামাটিতে গুলিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ নিহত ৭
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৮:৪৫
রাঙামাটিতে গুলিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ নিহত ৭
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচনকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহতদের মধ্যে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতজনে।


সোমবার রাতে বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম তৈয়ব আলি। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক বলে জানা গেছে। রাতেই এ ঘটনায় আহত ১১ জনকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়ার পথে তিনি মারা যান।


এদিকে আহত অপর ১০ জনকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায়।


এ ঘটনায় অপর নিহতরা হলেন- আনসার বাহিনীর ভিডিপি সদস্য আল আমিন (১৭), বিলকিস বেগম (৪০), মিহির কান্তি দত্ত (৪০), জাহানারা বেগম (৪০), পথচারী মন্টু চাকমা (২৭) ও শিক্ষক মো. আমির হোসেন (৪০)।


চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেছেনন, নিহতদের মধ্যে শিক্ষক আমির ও আবু তৈয়ব পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিহির দত্ত, আল আমিন, বিলকিস আক্তার ও জাহানারা বেগম আনসার ও ভিডিপি সদস্য।


সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানের ১১৫টি উপজেলার সঙ্গে বাঘাইছড়ি উপজেলায়ও ভোটগ্রহণ হয়। তবে জেএসএস সমর্থিত প্রার্থীদের বর্জনের কারণে আগে থেকে বাঘাইছড়িতে চলছিল উত্তেজনা।


এর মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে নির্বাচনকর্মীদের উপর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


এ বিষয়ে নিবার্চনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানিয়েছেন, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা নিশ্চিত পরাজয় জেনে সকালে নির্বাচন বর্জন নাটক করার পর সন্ধ্যায় সরকারি কাজে নিয়োজিতদের ওপর এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে। তিনি এই হামলার জন্য জনসংহতি সমিতি (সন্তু লারমা) ও ইউপিডিএফকে (প্রসিত) দায়ী করেছেন।


পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ওই এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম বা অবস্থান নেই। ওইটা পুরোটাই ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকা।


তিনি বলেন, আমরা যেহেতু সকালেই নির্বাচন বর্জন করেছি এবং লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, আমরা কেন এমন কাজ করবো। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের আস্থা আছে।


অন্যদিকে ইউপিডিএফের (প্রসিত) মুখপাত্র মাইকেল চাকমা জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই নির্বাচনে আমাদের এখানে কোনো প্রার্থীও ছিল না। আমরা কেন এ কাজ করতে যাব?


এই হামলা কারা চালিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে তারা বলেছেন, হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।


বিবার্তা/মনন/জাকিয়া


>>রাঙামাটিতে গুলিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com