লালমনিরহাট বিমানবন্দরে বিমান কারখানাসহ যাত্রী পরিবহনের সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।
শফিউল আরিফ জানান, বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পরিত্যক্ত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম লালমনিরহাট বিমানবন্দরে বিমান কারখানা করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিতে দুই দিন ধরে বিমান বাহিনীর প্রকৌশলীরা বন্দরের বিভিন্ন বিষয় খুটে খুটে দেখেন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য একটি হেলিকপ্টারে লালমনিরহাট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমান বাহিনীর প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে বিমান বাহিনীর প্রধান হেলিকপ্টারে পুরো বিমানবন্দর ঘুরে দেখেন এবং এর সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। এরপর সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বিমানবন্দরে সভা করেন বিমান বাহিনীর প্রধান। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি প্রথম দিকে বিমান কারখানা হিসেবে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কারখানা চালু হলেই যাত্রী পরিবহনের সেবা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সভার বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, বিশাল এ বিমানবন্দরটি প্রথম দিকে বিমান কারখানা করা হবে। পরে এখানে চাহিদা অনুপাতে যাত্রী পরিবহনের সেবা চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর এলাকার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন। ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাঙ্গার, ট্যাক্সিয়েসহ সকল অবকাঠামো একটি পুর্নাঙ্গ বিমানবন্দরের আদলেই রয়েছে। প্রাইভেট এয়ার লাইনস গুলো চাইলে এখনেই এটিতে উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারে। তাই এখানে সর্ব প্রথম প্রয়োজন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।
বিবার্তা/জিন্না/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]