শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৯, ১০:১২
চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাড়ির ছাদের টবে কিংবা শখের বশে নয় এবার মালচিং ফিল্মি পেপার পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে চুয়াডাঙ্গায় চাষ করা হচ্ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের। এবারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে এ জাতের সবজির চাষ করা হয়েছে। একটি গাছ থেকে একাধিকবার ফল পাওয়া ও অল্প সময়ে ফল বাজারজাতকরণের উপযোগী হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছে চাষিরা। এছাড়া ক্যাপসিকামের বাজার দামও ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছে জেলার চাষিরা।


বাংলাদেশে মূলত ক্যাপসিকামের চাষ হয় বাড়ির ছাদের গাছের টবে কিংবা শখের বশে। কিন্তু এবার সৌখিনতা নয় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চুয়াডাঙ্গায় চাষ করা হচ্ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের এক খণ্ড জমিতে এবারই প্রথম এ ধরনের আবাদ করা হয়। প্রথমে কিছুটা সংশয় থাকলেও ভালো ফলন ও চড়া বাজারদাম থাকায় কৃষকরা বেশ খুশি।


এই ক্যাপসিকাম সালাত হিসাবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ দেশে ক্যাসিকামের বেশি চাহিদা না থাকলে ও বিদেশে এর চাহিদা বেশ। এর আগে ক্যাপসিকাম বিদেশ থেকে আমদানী করতে হতো। এখন আর আমদানি করতে হবে না। দেশেই এখন ক্যাপসিকাম পাওয়া যাবে।



গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের জানান, ক্যাপসিকাম মূলত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও বড় বড় শহরের শপিং মলে বাজারজাত করা হচ্ছে। ক্যাপসিকাম প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


তিনি আরো জানান, প্রতি বিঘা ক্যাপসিকাম চাষ করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। ক্যাপসিকাম রোপণের ৬০-৭০ দিন পরে ফল পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে ৪হাজার চারা রোপণ করা যায় এবং প্রতিটি গাছে ১৫-১৬টি ক্যাপসিকাম ধরে। এ ফল ৪-৫ মাস পর্যন্ত ফল ধরে। এক বিঘা ক্যাপসিকাম চাষ করে কৃষক ৪ লক্ষাধিক টাকার ও বেশি আয় করতে পারে।


চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আশাদুল ইসলাম জানান, গাছ লাগানোর ২মাসের মাথায় ফল দেয়া শুরু করে ক্যাপসিকামের ছোট্ট এই গাছগুলো। একটি গাছ থেকে ফলও পাওয়া যায় বেশ কয়েকবার। সেসব ফল বিশেষ উপায়ে প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ক্যাপসিকামের দাম ভালো পাওয়ায় লাভের প্রত্যাশা করছে এই কৃষক।



এ জাতের বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এগ্রিকনসার্ন এর ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রথম অবস্থায় কিছুটা ভীতি থাকলেও প্রত্যাশার তুলনায় ভালো ফলনে সে ভীতি কেটে গেছে। আগামীতে ক্যাপসিকাম চাষের ব্যাপকতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে তারা।


চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম চাষিদের নানা ভাবে সহায়তা করেছেন তারা। এছাড়া জেলার অন্যান্য কৃষকদের এ চাষে আগ্রহী করতে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা।


বিবার্তা/সালেকিন/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com