বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদিক সরকার ও সারওয়ার হোসেন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, দুপুরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট কলেজের সেকেন্ড সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে শাওন (১৭), সাদিক সরকার ও সারওয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

ইতোমধ্যে ওই মামলায় আসামি সাদিক সরকার ও সারওয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের কর্মকর্তা।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে শাওন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ইট বাড়িয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে, সাদিক সরকার গাইবান্ধা সদরের নশরতপুর গ্রামের মো. মোকসেদুল সরকারের ছেলে ও সারওয়ার হোসেন শেরপুর সদরের কালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা তিনজন গৌরনদী পৌর সদরের উত্তর বিজয়পুর মহল্লার ভাড়া (মেসে) থাকতেন। তাদের বাসার কাছেই দাখিল মাদ্রাসা। ভিকটিম ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাওন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে শাওন ভিকটিমকে ফোন করে তার জ্বরের কথা জানিয়ে দু’টি নাপা টেবলেট নিয়ে মেসে আসতে বলেন। তার কথা মতো সকাল ৭টায় ভিকটিম নাপা টেবলেট নিয়ে ওই মেসে যায়। এসময় তাকে রুমের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় শাওন, সাদিক সরকার ও সারওয়ার হোসেন। পরে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে শাওন।

বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা মীমাংসার চেষ্টা করায় মামলা করতে বিলম্ব হয়।

বিবার্তা/আবদুল্লাহ/জহির