শিরোনাম
যশোর থেকে ট্রেনে ৩১ যাত্রী গেলেন কলকাতায়
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪৮
যশোর থেকে ট্রেনে ৩১ যাত্রী গেলেন কলকাতায়
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

৫৪ বছর পর যশোর থেকে কলকাতা ট্রেনে যাতায়াত শুরু হল। যশোর জংশনে থেকে ৩১ যাত্রী গেলেন কলকাতা। ২০১৭ সলের ১৬ নভেম্বর ঢাকা- কোলকাতা ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয়। কিন্তু যশোর জংশনে কোনো বিরতি ছিল না। যশোরবাসীর প্রাণের দাবি ছিল এ ট্রেনে যশোর থেকে যাত্রী উঠা-নামার বিরতি। সেই দাবি পূরণ হলো বৃহস্পতিবার।


চার মিনিটের যাত্রা বিরতি শেষে এদিন বিকেল ৩টার দিকে ৩১জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। এই জংশনের জন্য ২০০সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এ রুটের ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।


যশোর রেলওয়ে জংশনের ম্যানেজার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার কলকাতা-খুলনা রুটে চালুকৃত ট্রেন যশোরে তিন মিনিটের যাত্রা বিরতি করবে। যা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো। এই জংশনের জন্য ২০০টি সিট বরাদ্দ আছে। প্রথমদিন ৩১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে এসি কেবিন ৭টি ও এসি চেয়ার ২৪টি।


তিনি আরো বলেন, কলকাতাগামী যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং রুমসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।


এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর থেকে জংশনে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কলকাতার যাত্রী ও তার স্বজন ছাড়াও উৎসুক জনতার ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় থাকা যশোর


শহরের বেজপাড়া এলাকার আফরোজা বেগম জানান, পরিবারের সাত সদস্যের সঙ্গে কলকাতায় যাচ্ছেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের দিনে যশোর থেকে কলকাতা ট্রেন যাত্রা শুরু হলো। একদিনের পরিবর্তে দুইদিন ট্রেন সার্ভিস চালু হলে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে।


কলকাতাগামী ট্রেনের যাত্রী যশোর সদরের দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, যশোর থেকে ট্রেনে কলকাতায় যাচ্ছি। এটা ভাবতেই ভাল লাগছে। ট্রেনের টিকিটের দাম একটু কমালে ভাল হতো।


কলকাতাগামী ট্রেনের আরেক যাত্রী ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নন্দিত উদ্যোগে বৃহত্তর যশোরবাসীর জন্য খুবই উপকার হলো। এই জংশনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম নেই। জংশনকে আধুনিকায়ন করে সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। তাহলে আরো জনপ্রিয় হবে। বর্তমানে দুই’শত সিট বরাদ্দ আছে। আমি মনে করি আগামী ৬ মাসের মধ্যে এখানে যাত্রীর সংখ্যা ৫শ’ হবে।


রেল স্টেশনের টিকিট কালেক্টরেট সাহিদা বেগম বলেন, ৩৫ বছর ধরে রেলে চাকরি করছি। দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রা বিরতি ও ছেড়ে যাওয়ার সময় মাইকে ঘোষণা করি। এবারই প্রথম কোন বিদেশগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও ছেড়ে যাওয়া ঘোষণা করলাম। আমার জন্য এটি স্মরণীয় দিন।


বিবার্তা/তুহিন/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com