শিরোনাম
কলাপাড়ায় বৃষ্টিতে ভাসল কৃষকের স্বপ্ন
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩১
কলাপাড়ায় বৃষ্টিতে ভাসল কৃষকের স্বপ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

অকাল বৃষ্টিতে উপকূলীয় এলাকায় রবিশস্যের ক্ষেতে পানি জমে আছে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার হাজারো কৃষক। তরমুজের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পচে গেছে ডাল ক্ষেত। অকালের ঝড়োহাওয়া আর ভারি বৃষ্টির কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন কৃষকরা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র,মাঝারি ও বড় সকল শ্রেণির কৃষক ক্ষতির কবলে পড়েছেন। মাঠে শুধুই পানি আর পানি। কেউ কেউ ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ পানি দ্রুত শুকিয়ে নেয়ার জন্য ক্ষেতে লাইন কেটে পাশের খালের সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন। কেউ বা আবার নতুন করে ক্ষেতে বীজ বোপন করেছেন।


কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, উপজেলার ১৬ হাজার ৭০০ কৃষক বৃষ্টিতে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অন্তত ১৭ হাজার দুই শ’ ৯০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে ডালজাতীয় খেসারীর ৬ হাজার এক শ’ ৭৫ একর আবাদি জমির শতকরা ৪০ ভাগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে। একই ভাবে পাঁচ হাজার পাঁচ শ’ ৫৭ একর তরমুজ ক্ষেতের ৬০ ভাগ, মুগডালের ৪ হাজার ৮১৬ একর আবাদি জমির অর্ধেকটা, ফেলন ডালের ৭ হাজার ২৮৬ একর আবাদি জমির ৩০ ভাগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। একইভাবে মরিচ, চিনাবাদাম, মিষ্টি আলু, সূর্যমুখী ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বৃষ্টিতে।


নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামে কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। অকাল বৃষ্টিতে তার ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।


ধানখালীর লোন্দা গ্রামের কৃষক মো. অহিদুল জানান, এ বছর তিনি এক একর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত তার প্রায় ২০ শতাংশ তরমুজের ক্ষতি হয়েছে। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


কৃষক আলামিন খান বলেন, তার ক্ষেতে তরমুজের ফলন বেশ হয়ে ছিল। হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে তরমুজ ক্ষেত। লোকসানের দুশ্চিন্তায় পড়েছে তিনি।


নীলগঞ্জের সবজি চাষি সুলতান গাজী জানান, মরিচ, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, পুঁইশাক জাতীয় শস্য ও শাকসবজির বীজতলা করেছেন তা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।


ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান মো.আবদুল জলিল আকন জানান, কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা খুবই হতাশা জনক। তরমুজ ছাড়াও খেসারী. মুগডাল, মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো রবি শস্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা ছিলো। বিষয়টি দেখার জন্য প্রত্যেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/উত্তম/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com