নাটোরের গুরুদাসপুরে আবুল কালাম বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবককে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শহিদুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় কালাম বিশ্বাস। এরপর সারারাত বাড়ি না ফিরলে স্থানীয়রা মঙ্গলবার বেলা গ্রামের মোকাম আলীর লিচু বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেয়।

তারা আরো জানায়, গ্রামের শুকুর আলী, আব্দুল মালেক, শহিদুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম ও খলিলুর রহমানের সঙ্গে সমিতির ব্যবসা করতেন কালাম । ব্যবসায়ে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসার হিসাব-নিকাশ নিয়ে কালামের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। ব্যবসার জন্য অন্য অংশীদাররা তাকে হত্যা করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

কালামের ভাই আব্দুল মজিদ জানান, ব্যবসা নিয়ে এলাকার শুকুর, মালেক, শহিদুল, আশরাফুল ও খলিলুরের সঙ্গে তার ভাইয়ের ঝামেলা চলছিল। ভাইকে হুমকি দেয় তারা।

কালামের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, শুকুর, মালেক, শহিদুল, আশরাফুল ও খলিলুররা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, কালাম বিশ্বাসকে ছুরি দিয়ে হত্যার পর লিচু গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় শহিদুল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিবার্তা/দিল/মাইকেল/জাকিয়া