শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ নজর দেবে সরকার। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সেক্টরে শিক্ষার্থীর হার শতকরা ২০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। সামনে এই হার আরো বাড়ানোর জন্য সরকার বিশেষভাবে মনোযোগী রয়েছে।
বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের মিজাপুরে মির্জাপুর এস.কে পাইলট মডেল সরকারি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে শ্রেণী সব শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে সময় না দিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে আরো কঠোর হবে সরকার। তবে কোচিং সেন্টারের ভিন্ন ভিন্ন ধরন থাকায় তা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির ব্যানারে যারা পাঠ্য বইয়ের বাইরে গাইড বা অন্যান্য বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ও এটি আর বেগবান হবে।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই যারা বা যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোট বইয়ের ব্যবসা করছেন তাদেরও কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এছাড়াও যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নীতিমালা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান করতে আগে অনুমতি লাগে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে পাঠদানের অনুমতি নেয়া হয়। সেজন্যই সারাদেশে যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষা নয়, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যই বড় হয়ে উঠছে। কাজেই এটা নিয়ে সরকার ভাবছে। সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।
এর আগে সকালে মির্জাপুর পৌঁছে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ‘মুক্তির মঞ্চে’ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপরই আসেন মির্জাপুর এস.কে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সবশেষে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দেন ভারতেশ্বরী হোমসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।
এ সফরকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ একাব্বর হোসেন, ইউএনও আবদুল মালেক, মেয়র সাহাদাৎ হোসেন সুমন, ওসি একেএম মিজানুল হক ও স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতারা।
বিবার্তা/তোফাজ্জল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]