কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার ইছানগরে গড়ে ওঠা দুই বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তারা ৫টি সিসিটিভি জব্দ ও ১৩ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের বাসা ছাড়ার মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামশুল তাবরীজ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. হাসান ইমাম, এসআই মো. দিদার হোসেন, এসআই মোহাম্মদ আলম খান, এএসআই মো. জুবায়ের হোসেন, এএসআই আশুতোষ চন্দ্র সরকার, এএসআই রফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ও স্থানীয় চৌকিদার।

জানা যায়, কয়েকদিন আগেও এই দুটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাড়ি দুটির প্রকৃত মালিকরা সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় বিদেশে পালিয়ে যায়। তবে তাদের বৈধ ব্যবসার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূলত, মাদক ব্যবসা করে বাড়ি দুটি তৈরি করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। অভিযানকালে বাড়ি দুটিতে ভাড়াটে কিছু মহিলা ও শিশু ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। মৌখিকভাবে এসকল ভাড়াটিয়াকে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে বাসা ছাড়ার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করা হবে বলে সর্তক করা হয় তাদের।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইছানগরে দুটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ভাড়াটিয়াদের সর্তক ও কয়েকটি সিসিটিভি জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বাড়ি দুটির মালিক টেকনাফ থেকে এসে এখানে বাড়ি বানিয়েছে। কিছুদিন আগে ইছানগরের মীর্জা বাড়ির হাফেজ আহমেদের কাছ থেকে তারা জমি কেনে। পরে দ্রুতই তারা দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে।

এদিকে, টেকনাফের এই ভবন মালিকরা কর্ণফুলীতে আসার পর থেকেই এখানে মাদকের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে। যদিও ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছেন তারা।

বিবার্তা/জাহেদ/মাইকেল/জহির