শিরোনাম
ফুলবাড়ীতে অনিশ্চিত দুইশ বিঘা জমির বোরো চাষ
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৮
ফুলবাড়ীতে অনিশ্চিত দুইশ বিঘা জমির বোরো চাষ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি বিএডিসির গভীর নলকূপের মালিকানা বিরোধের জেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার দুইশ বিঘা জমির বোরো চাষ।


উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের হরগোবিন্দপুর মৌজার ঝকঝকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পানি সেচের ড্রেন কেটে দেয়ায় বোরো চাষের জন্য পানি সেচ নিতে পারছে না কৃষকরা।


ঘর গোবিন্দপুর গ্রামের বোরো চাষিরা বলেন, গভীর নলকূপটির মালিকানা জটিলতায় তাদের বোরো চাষ করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বোরো রোপণের সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে, অথচ গভীর নলকূপ থেকে জমিতে পানি যাওয়ার ড্রেনগুলো কেটে ফেলার কারণে তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। ফলে তাদের বোরো রোপণ করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।


জানা গেছে, হরগোবিন্দপুর মৌজায় ১৯৮৫ সালে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে বিএডিসির সরকারি অনুদানে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। নলকূপটি ঝকঝকা গ্রামের বাসীন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পরিচালনা করেন। আব্দুল খালেক মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে নুরুজ্জামান মালিকানা দাবি করলে একই এলাকার বসবাসরত গ্রামবাসীর একাংশ নলকূপটি কৃষক সমিতির দাবি করেন।


এ ঘটনায় গভীর নলকূপটি নিয়ে কয়েক বছর ধরে মালিকানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বোরো চাষ চলমান রাখতে গত বোরো মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে গভীর নলকূপটি পরিচালিত হয়। চলতি মৌসুমে আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান কাগজ দেখিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পানি সেচ দিতে গেলে গ্রামবাসীর একাংশ বাধা দেয়।


এসময় তারা পানি সেচ দেয়া ড্রেন কেটে দিলে গভীর নলকূপটি থেকে পানি সেচ নিতে পারছেনা কৃষকরা। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই গভীর নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় দুইশ বিঘা জমির বোরো চাষিরা।


মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান বলেন, নলকূপটি তার পিতা আব্দুল খালেক বিএডিসির নিকট থেকে কিনে নেয়। সুতরাং এখন তিনি এই গভীর নলকূপটির মালিক। আর কাগজপত্র দেখে পল্লী বিদ্যুৎ তার নামে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছে।


এদিকে ঝকঝকা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সবুজ মিয়া বলেন, নলকূপটি কৃষক সমবায় সমিতির। অথচ নলকূপটির সাবেক ম্যানেজার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুজ্জামান নিজের বলে দাবি করায় এই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।


এ বিষয়ে বিএডিসি দিনাজপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ) শামিম আহম্মেদ বলেন, হরগোবিন্দপুর মৌজার জেএল নং ১১৯-এর ২৫৬নং দাগে সরকারি অনুদানে হরগোবিন্দপুর কৃষক সমবায় সমিতির নামে ১৯৮৫ সালের ২৮ মে নলকূপটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেসময় জামানত বাবদ মাত্র ১৩ হাজার টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা কৃষক সমিতি জমা দেয়নি। ফলে নলকূপটি আব্দুল খালেককে ভাড়ায় পরিচালিত করার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর আব্দুল খালেক নলকূপটি ভাড়ায় পরিচালনা করেন।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, এলাকার কৃষকরা যাতে বোরো চাষ করতে পা, সেই লক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা প্রচেষ্টা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


বিবার্তা/উজ্জল/মাইকেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com