কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম (৩৬)। এছাড়া একই মামলায় ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুলের চাচাতো ভাই সামাদ প্রামাণিকের ছেলে মো. জিকুর (৩২) এক বছরের কারাদণ্ড ও বাকি ৮ জনের তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
তারা হলেন খাইরুলের ভাই ফারুক হোসেন (৩২) এবং পিতা ওমেদ প্রামাণিক (৬০), চাচা আছান প্রামাণিক (৫৮), আবুল কাশেম (৪৮), ওছেল প্রামাণিক (৫০), আতিয়ার রহমান (৪০), রবিউল ইসলাম (২৫) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পলাশ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এসময় তার ছেলে বাবুল হোসেন (১৪) হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
পরে বাবুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌসুলী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১৫ মে ২০১৫ তারিখে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন কুমারখালী থানা পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য শেষে আদালত এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে শিশু বাবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/শরীফুল/মাইকেল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]