শিরোনাম
ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে কর্ণফুলীর দু’পাশে উচ্ছেদ অভিযান
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৭
ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে কর্ণফুলীর দু’পাশে উচ্ছেদ অভিযান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে। কর্ণফুলী নদী আমাদের সম্পদ। দল মত নির্বিশেষে এগিয়ে এসে দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। যে কোনো মূল্যে কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হবে।


কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করতে সোমবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়।


তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বন্দরের ভূমিকা প্রধান্য দিতে হবে। বন্দরকে ধরে রাখতে হলে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জানান, চাক্তাই থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কর্ণফুলীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ১৮৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং এরপর পর্যায়ক্রমে অপর দুটি জোনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলবে।


সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ বলেন, সিএমপির ২০০ পুলিশ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। অনেকে নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে বলেও তিনি জানান।


এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট মুনীর চৌধুরী পতেঙ্গা থেকে সল্টগোলা হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড়, মাঝিরঘাট, সদর ঘাট, ইয়াকুব নগর, ফিরিঙ্গি বাজার, চাকতাই, লালদিয়ার চর, কালুরঘাট পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকায় চার হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছিলেন।



এতে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তীসহ বন্দরের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ১২৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। ২০০৬ সালে লালদিয়ার চর উচ্ছেদ অভিযানে ১০০ কোটি টাকার জমিও উদ্ধার করেন তিনি।


এদিকে লাল রং-এর দাগ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। এই দাগের ভিতরের সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের আগেই জানানো হয়েছে। যারা সরিয়ে নেয়নি তাদেরগুলো আজ উচ্ছেদ করা হচ্ছে।


সরজমিনে দেখা যায়, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময়েও অনেকেই তাদের অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিচ্ছে। আবার অনেকে আগে ভাগে সরিয়ে নিয়েছে।


জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দের অভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে।


গত দু’দিন আগে ভূমিমন্ত্রীর সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সদরঘাটসহ কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। ভূমিমন্ত্রীর আশ্বাসে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


বিবার্তা/জাহেদ/মাইকেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com