শিরোনাম
সাভারে চারদিন আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৪
সাভারে চারদিন আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাভারে চারদিন আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। গুরুতর আহত কিশোরীকে (১২) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


সাভার পৌরসভার নামা গেন্ডা এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে কিশোরীকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই কিশোরী স্থানীয় নূর ক্যাডেট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।


কিশোরীর বাবা পেশায় একজন রিক্সা চালক। তিনি জানান, তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মেয়েটি সোমবার সন্ধ্যার পর বাসার সামনের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে তিনি সাভার থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।


বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাদের নজরে আসে প্রতিবেশী মজিবরের বখাটে ছেলে বিল্লাল হোসেন-ও নিখোঁজ। সন্দেহ থেকে স্থানীয়রা তাদের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করলে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে বাসার সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।


ওই কিশোরী জানান, ওই দিন রাতে বিল্লাল হোসেন দোকানের সামনে থেকে কথা আছে বলে সামনে ডেকে নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসে তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।


স্থানটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে না পারলেও সেখানে পৌঁছাতে প্রায় ৪ ঘন্টার মতো সময় লেগেছিলো বলেও জানান ওই কিশোরী।


কিশোরী জানায়, সেখানে নেবার পর একটি বাড়িতে আটকে রেখে বিল্লালসহ দুই দুর্বৃত্ত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।


কিশোরীর মা জানান, এ ঘটনার পর থানায় গেলেও তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। এই সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা বিষয়টি আপোষ মীমাংসার জন্যে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


স্থানীয় স্কুলে শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক মাষ্টার জানান, পুলিশ বখাটের বাবা মজিবরকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এখন উল্টো মামলা না করার বিষয়ে প্রভাবশালীরা হস্তক্ষেপ করছে।


দরিদ্র রিক্সা চালক শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় পাবেন কিনা তা নিয়েও নিজের সংশয়ের কথা জানান তিনি।


যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার এএসআই দুলাল রায় জানান, আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। ওসি সাহেব থানায় না থাকায় পরে তাদের আসতে বলেছি।


তবে সাভার মডেল থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জড়িত বখাটেরা ছিলো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।


বিবার্তা/শরীফুল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com